উখিয়া উপজেলার বালুখালী পানবাজার চত্বরে ২৯ ডিসেম্বর বুধবার ঠিক সকাল ৯ টায় পালংখালী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি উদ্দ্যোগে এক বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এম.এ মনজুর, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি ফজল কাদের চৌধুরী ভুট্টো মেম্বার, ইউপি সদস্য নুরুল আলম, সমাজ সেবক এড.এম এ মালেক, দুই নাম্বার ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আবু তাহের আজাদ।
আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার রবিউল হোছাইন, সদস্য সচিব আব্দুল গফুর নান্নু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এতমিনানুল হক, আনোয়ার হোসেন, শাহাদাত হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, আব্দুস সাত্তার সফিকুর রহমান, শহীদুল্লাহ কায়সার, এরশাদুল হক ইমন, লুৎফর রহমান, মিজান উদ্দিনসহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আনোয়ারুল জলিল শান্ত এবং রিদওয়ানুল আজিজ। মানববন্ধন কর্মসূচিতে স্থানীয় সকল শ্রেণির শুভাকাঙ্খিদের উপস্থিতিতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ন্যায্য অধিকার আদায়ে ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন এবং অবিলম্বে সরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবি সমূহ বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান।
বল-পূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের কারণে কক্সবাজার জেলার ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়দের অধিকার আদায়ে অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি, ৫নং পালংখালী গত ১৯/১২/২০২১ইং তারিখ উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিস জনাব নিজাম উদ্দিন এর মাধ্যমে স্থানীয়দের দাবি নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারক দেন।
১) মাদক চোরাচালানে জড়িত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
সরকারি নির্দেশনা অনুসারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও/আইএনজিও’র চাকুরীর নিয়োগে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
২) রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি কাটাতারের ভিতরে বসবাসরত সকল পরিবারকে wfp এর নিয়মিত খাদ্য কর্মসূচি নিশ্চিত করতে হবে।
৩) ইউএন অরগানাইজেশন বা এনজিও গুলো তাদের বাজেটের ২৫-৩০% স্থানীয়দের জন্য ব্যয় করার যে ঘোষণা দিয়েছে তার সঠিক বাস্তবায়ন এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
৪) রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি ৫নং পালংখালী ইউনিয়নের সকল পরিবারের জন্য জ্বালানি গ্যাস নিশ্চিত করতে হবে।
৫) স্থানীয় ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সার্থে রোহিঙ্গাদের ব্যবহ্নত অবৈধ উপায়ে নিবন্ধিত প্রায় ১২লাখ মোবাইল সীম বন্ধ করতে হবে।
৬) চাকুরীর নিয়োগ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে।
৭) স্থানীয় ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ক্লিনার এবং সিকিউরিটি গার্ড ব্যতিত বিভিন্ন পদে চাকুরীরত ২৫ হাজার রোহিঙ্গাদের চাকুরী থেকে ছাটাই করে উক্ত পদে স্থানীয়দের চাকুরী নিশ্চিত করতে হবে।
৮) মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য রোহিঙ্গাদের উৎসাহিত করতে এনজিওদের বিশেষ কর্মসূচি নিতে হবে।
৯) রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি ৫নং পালংখালী ইউনিয়নের সকল স্থানীয় পরিবারের জন্য প্রতিমাসে জ্বালানি গ্যাস নিশ্চিত করতে হবে।
১০) কাটাতারের বাইরে রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণ বন্ধ করতে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে এবং রোহিঙ্গা সকল প্রকার ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।
-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।